অনলাইন ডেস্ক:
বিভিন্ন নিত্যব্যবহার্য প্লাস্টিকের একটি উপাদানের নাম ফ্যাটহেলেটস। এ রাসায়নিক উপাদানটি পুরুষের শুক্রাণুর সজীবতা কমিয়ে দেয় বলে জানা গেছে গবেষণায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে পিটিআই।
ফ্যাটহেলেটস নামে এ বিপজ্জনক উপাদানটি পাওয়া যায় ওয়ালপেপার, স্যান্ডেল, নেইল পালিশ, পারফিউম ও কার্পেটে। এটির ক্ষতিকর দিক উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, পুরুষের নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রে যদি এ উপাদানটি বেশিমাত্রায় থাকে তাহলে তা দেহেও প্রবেশ করতে পারে। আর এটি দেহে প্রবেশ করলে পুরুষের শুক্রাণুর সজীবতা নষ্ট করে। ফলে সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়ে পড়তে পারে পুরুষ।
ফ্যাটহেলেটস মূলত কয়েকটি উপাদানের সংমিশ্রণ। এটি ফ্যাটহেলেটিক এসিডের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ উপাদানটি দেহের আরো গণ্ডগোলের জন্যও দায়ী বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সাধারণত দৈনন্দিন যেসব নরম প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়, সেগুলোতেই এ উপাদানটি থাকে। এসব নরম প্লাস্টিক দেহের সংস্পর্শে আসলে কিংবা খাবার, পানীয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করলে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়।
ফ্যাটহেলেটস মলিকিউলগুলো প্লাস্টিক থেকে বের হয়ে আসে এবং দেহে নানাভাবে প্রবেশ করে। দেহে ফ্যাটহেলেটস-এর মাত্রা কতোখানি রয়েছে তা ইউরিন পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়।
প্লাস্টিকের উপাদানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শুক্রাণু
গবেষকদের একজন জনাথন অ্যাক্সেলেসন। তিনি লুন্ড ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের গবেষক। তিনি বলেন, ‘আমরা দেহের বিপাক প্রক্রিয়ায় ফ্যাটহেলেটস ডিইএইচপি (phthalate DEHP -diethylhexyl phthalate)-এর মাত্রা নির্ণয় করেছি ইউরিন পরীক্ষার মাধ্যমে। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩০০ পুরুষের বয়স ছিল ১৮ থেকে ২০ বছর।’
তিনি আরো বলেন, ‘গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, বিপাক ক্রিয়ায় সে উপাদানটি উচ্চমাত্রায় থাকলে তাদের শুক্রাণুর সজীবতা কম হয়।’
বহু পুরুষেরই বর্তমানে শুক্রানুর উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আর এতে তাদের বাবা হওয়াও বিলম্বিত হচ্ছে কিংবা একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্লাস্টিকের এ উপাদানটির বিষয়ে সতর্কতা জানিয়েছেন গবেষকরা। দীর্ঘদিন থেকে প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহার করলে এসব সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
পাঠকের মতামত